Gairik Dasgupta

ক্যারিসম্যাটিক সরস্বতী 

যে যাই বলুক, আমাদের Madam সরস্বতী কিন্তু এখনও একঘর। ওনার Contemporary লক্ষ্মী, দূর্গা, কালী ইত্যাদি কিংবা হাল আমলের Valentine, গােলাপ, চুম্বন বা অন্য কোন দিবস, বাগদেবীর Charisma র কাছে, নস্যি।। Beauty এবং Brain এর Rare যুগলবন্দির নাক উঁচু Glamourous দিদি, জনপ্রিয়তায়, এবার তাে রীতিমতাে Challenge ছুঁড়ে দিলেন, নিজের আপন ভাই গনেশ বাবাজিকে। বইপত্তরের কৌলিন্যের সাথে প্রেমের হলুদ মাখা আটপৌরে ইমেজ ভেঙে, রাস্তার মােড়ে-মােড়ে, দারু আর রঙ্গবতির উদ্দাম Cocktail এর, এ যেন এক অন্য সরস্বতী।  সময় তার সময়মত, Notification জারি করে গেছে। বুদ্ধিমতী দেবী বিণাপানী, নিজেকে শুধু Update করে গেছেন। আর হবে নাই বা কেন। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম, মর্ত্যে, মাঘের শুক্লপক্ষে পঞ্চমী তিথিতে, সরস্বতীর পূজা করেন। উফ, Opening টা ভাবা যায়। কোনাে ক্যাবিনেট স্তর নয়, এক্কেবারে সটান রাষ্ট্রপতি।  আর ব্যক্তিগত ইতিহাস, কে নেই। পদ্মাপুরাণে দক্ষের কন্যা, কশ্যপমুনির পত্নী। ব্রক্ষ্মবৈবর্ত পুরানে বিষ্ণুর পত্নী। স্কন্ধপুরাণ মতে তিনিই আবার শিব-জায়া। ভিন্ন মতে কৃষ্ণ তার পিতা, আরেক মতে তিনিই দেবরাজ ইন্দ্রের মাতা। কোন Level এ অবাধ বিচরণ, ভাবলে লজ্জা পাবেন বর্তমান PR Consultant রা। এহেন, পুষ্পহারে শােভিত Head Turner  মহাশ্বেতা আবার, একদিকে ঋষি বিশ্বামিত্র, অন্যদিকে ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণুকে নিয়ে খেললেও, শুম্ভ-নিশুম্ভকে শায়েস্তা করতে, কট্টর নারীবাদী, রুদ্রমুর্তিতে অষ্টভুজা মহাসরস্বতী। কিংবা, তিন সতিনের সংসারে, গঙ্গার প্রতি নারায়ণের পক্ষপাতে,  গৃহকর্ম নিপুনা লক্ষ্মী Compromise করলেও, তিনি একটা আস্ত শাহীনবাগ। এই রকম Audrey Hepburn আর Margaret Thatcher এর মিশেল মার্কা ইমেজে, একটু-আধটু Scandal তাে থাকবেই। তাই, সৃষ্টিকর্তা ব্রক্ষ্মা স্বয়ং, কামনা করে বসলেন, অসাধারণ রূপসী এবং বিদুষী, তারই মানসপুত্রীকে। কোন সময়ে দাঁড়িয়ে, কোন Level এর Scandal! আর এখানে, এই সেদিন, LGBT রা সুপ্রিম কোর্টের স্বীকৃতি পেল। Cosmetic নয়, স্বাভাবিক সৌন্দর্যের Intellectual আবেদনে, আন্তর্জাতিক Branding এ তিনিই অগ্রগন্যা। মায়ানমারে তিনি Tipitaka Medaw, চীনে Biancaitian, জাপানে Benzaiten কিংবা থাইল্যান্ডে Surasawadee.  অতএব, যে যাই বলুক, ক্যারিশমার অপ্রতিরােধ্য মুগ্ধতায়, আজও, ঘরের কোনে একান্তেও, সরস্বতী ঠাকরুণ, এক এবং অদ্বিতীয়া।  গৈরিক  image source: https://in.pinterest.com/pin/576531189787571264/?nic_v3=1a2vTdH7I

দুর্গাপূজার বিবর্তনের ইতিহাস

বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কলকাতায় বারোয়ারি দুর্গাপূজার সূচনা ঘটে। অবশ্য কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পূজা অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।১৯১০ সালে ভবানীপুরের বলরাম বসু ঘাট রোডে ভবানীপুর সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভার পক্ষ থেকে বারোয়ারি দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়। এই পূজাটি আজও হয়ে আসছে।এরপর ১৯১১ সালে শ্যামপুকুর আদি সর্বজনীন, ১৯১৩ সনে শ্যামবাজারের শিকদারবাগান, ১৯১৯ সালে নেবুবাগান অর্থাৎ বর্তমান বাগবাজার সর্বজনীন এবং ১৯২৬ সালে সিমলা ব্যায়াম সমিতির বারোয়ারি দুর্গাপূজা শুরু হয়।বারোয়ারি বলতে বোঝায় বাঙালিহিন্দুদের সর্বজনীন পূজা বা উৎসব।শব্দটি মূলত পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত।“বারোয়ারি” শব্দটির উৎপত্তি সম্ভবত, বারো (১২) ও ইয়ার মানে বন্ধু শব্দদুটি থেকে। ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারো জন ব্রাহ্মণ বন্ধু একটি সর্বজনীন পূজা করবেন বলে মনস্থ করেন। প্রতিবেশীদের থেকে চাঁদা তুলে আয়োজিত হয় সেই পূজা। এইভাবেই বাংলায় যে সর্বজনীন পূজানুষ্ঠানের সূচনা হয় তা লোকমুখে বারোয়ারি পূজা নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।প্রথম দিকে, দুর্গাপূজা কেবল কলকাতার ধনী বাবুদের গৃহেই আয়োজিত হত। কিন্তু বারোয়ারি পূজা চালু হওয়ার পর ব্যক্তি উদ্যোগে পূজার সংখ্যা হ্রাস পায় এবং দুর্গাপূজা একটি গণউৎসবে পরিণত হয়।১৭৫৭ সালে শোভাবাজার রাজবাড়িতে নবকৃষ্ণ দেব দুর্গাপূজা শুরু করেন। তার নির্দেশিত পথেই দুর্গাপূজা পরবর্তীকালে কলকাতার ধনিক বাবু সম্প্রদায়ের মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে।শাস্ত্রাচার এই সব পূজায় গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যে পূজায় যত বেশি সংখ্যক আমন্ত্রিত ইংরেজ অতিথি উপস্থিত হতেন, সেই পূজার মর্যাদা ততই বাড়তো। বাইজি নাচের আসর বসত। ইংরেজরা এসে নাচগান করতেন, তাদের জন্য উইলসন হোটেল থেকে গোরু ও শূকরের মাংস আনানো হত এবং মদ্যপানের আসরও বসত।রানি রাসমণিই প্রথম, এই প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে শুদ্ধাচারে তার জানবাজারের বাড়িতে দুর্গাপূজা শুরু করেন।ইংরেজ অতিথিদের চিত্তবিনোদনের বদলে, তার দেশীয় প্রজাদের বিনোদনের জন্য পূজা উপলক্ষে যাত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। ১৮৬১ সালে তার মৃত্যুর পর রানির জামাতাগণ নিজ বাসভবনে তার প্রদর্শিত পথেই, দুর্গাপূজার আয়োজন করতে থাকেন।১৬১০ সাল থেকে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার বড়িশায় তাদের আদি বাসভবনে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন। এটিই সম্ভবত কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গোৎসব। বর্তমানে এই পরিবারের সাত শরিকের বাড়িতে সাতটি দুর্গাপূজা হয়।এগুলির মধ্যে ছয়টি বড়িশায় ও একটি বিরাটিতে। বড়িশার দুর্গাপূজাগুলি হল আটচালা, বড়ো বাড়ি, মেজো বাড়ি, বেনাকি বাড়ি, কালীকিংকর ভবন ও মাঝের বাড়ি। ব্যাক্তির আঙিনা থেকে জনগণের হয়ে ওঠার, দুর্গাপূজার বিবর্তনের এই ইতিহাস, হালফিলের থিমের পুজোর প্রেক্ষাপটে, আজও সমান প্রাসঙ্গিক। লেখক @ গৈরিক

Traditional Bengali Home Décor

Home design influenced by a certain region, similar to themed furnishing, can lend any home space a well-defined, personalized composition. This setting speaks of the culture, way of living, and art of that particular region. You may have noticed stunning women’s designs influenced by a certain region, similar to themed furnishing, can lend any home space a well-defined, personalised composition. This setting speaks of the culture, way of living, and art of that particular region. You may have noticed stunning woodwork, textiles, and antiquities in some Bengali homes and may have thought about adding these elements in your home as well. Basics of Bengali Home Decor If you are a Bengali art and antique aficionado, give your interior space a touch of Bengali razzle and dazzle by incorporating the following décor facets: Furniture made of wood The majority of Bengali home interiors are lavishly adorned with bulky wooden furniture. Wood, generally dark-polished, is utilized to create tables, sofa sets, chairs, doors, cabinets, colonnades, beds, and divans in the interior spaces and half-open areas such as the verandah or courtyard of the house. Even though many Bengali homes showcase wood furniture of rosewood and teak, you can use the wood which is native to your area. Bengali art The experimental art movement that prospered in the British Raj in the initial years of the 20th century impacted a lot of artists and encouraged them to express themselves freely. Since that era, Bengal has produced legendary artists, and it is safe to say that the major percentage of Bengalis passionately love all things connected to art. Brightly-hued Kalighat paintings emerged in the Kalighat locale of Bengal. The paintings usually depict gods, mythological personas, and other scenarios that represent the essence of everyday life. Though both conventional and modern paintings get notable importance in a lot of Bengali home interiors, folk paintings may directly permeate any kind of interior with a Bengali ambiance. Figurines and sculptures A perfect example of the glorious heritage of Bengal is Dhokra art. In India, these sculptures are conventionally produced by the casting of non-ferrous metal, making use of the lost wax method, by the craftsmen of Odisha and West Bengal. Often, you will find stunning tribal motifs and figurines, animals, and religious idols crafted in metal and set on console tables and display items as part of Odia and Bengali home interiors. Terracotta accessories Ornamental décor sculptures and home accessories crafted out of terracotta are an inherent aspect of Bengal-inspired home décor. Vases, wall-hangings, showpieces, terracotta pots, candelabras, and similar items can channel the unique personality of Bengali home designs and add character to your décor. Kantha-work textiles Kantha is widely known to be one of the most ancient forms of Indian embroidery. In the past, women layered their sarees and sewed them in Kantha fashion to create quilts, bed covers, and throws. This type of embroidery is extremely popular in the community. Revel in the colours surrounding your home with Kantha-inspired cushions, duvets, runners, and much more. They bring a lot of Bengali influence with them.