Art and Culture

WEST না WASTE BENGAL 

“বাঙালি middle class চিরকাল refined mediocrityকে কদর করে এসেছে। ঋত্বিকের ছবি তার সময়ে চলতাে না। চলেও নি। বাঙালি তাকে ঠিক। গলাধঃকরন করতে পারে নি। পারবেও না। কারণ, বাঙালি খুব namby-pamby ন্যাকা মার্কা জাত। এরা stupidity, refined mediocrity এসব জিনিস পছন্দ করে। এগুলােই করবে। এটা বাঙালির একটা mindset. যা কিছু, যেটাকে বলে normal, সেটাকে accept করাে। Out of the way একটা কিছু, সেই grammar টা, যে অন্য grammar এর কথা বলছে, সেটাকে accept করাে না।  এবং এই করে সে তার language কে emasculate করেছে। তার language এ যে জোরের জায়গা সেগুলােকে তাড়িয়েছে। তার language এ ত্রৈলােক্যোও নেই, মাইকেলও নেই। সে, করলে-খেলে-বললে, একটা রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত অদ্ভুত জিনিস accept করেছে। Which goes by the name of atomit, which is not বাংলা। এই বাংলার কোনও জোর নেই।” মতবিরােধ থাকতেই পারে। থাকবেই। কিন্ত ঘুন ধরা, হতাশাগ্রস্ত, চিন্তার দৈনতায়, উলঙ্গ, যে বঙ্গসমাজকে প্রতিদিন চাক্ষুষ করা যায়, সব কিছু হারিয়েও, চিন্তায়, চেতনায়, জীবন চর্চায় অন্তত ‘সৎ’ বাঙালি, তার, সততার জোরের জায়গাটুকুও হারিয়েছে আজ, নিশ্চিত।  অসৎ রাজনৈতিক মানুষগুলাের প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ উল্লম্ফনের যথার্থ সঙ্গতকারী, ‘ভিড়ে’ পরিনত সাধারণ বঙ্গসন্তানদের উচ্চনিনাদি হুঙ্কার, বারংবার চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী উচ্চারণেই শীলমােহর বসায়। MAN AS AN INDIVIDUAL IS A GENIUS. BUT MEN IN THE MASS, FORM THE HEADLESS MONSTER. অন্ধকার কখনও ঝুপ করে নামলেও, সাধারণ ভাবে প্রয়ােজন, একটা দীর্ঘ প্রস্তুতির। ৩৪ বছরের দীর্ঘ বাম-শাসন কিংবা বিগত দশকের তৃণমূল। কার আমলে বাংলা কতটা উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত, তর্ক চলুক। কিন্ত আজীবন, মহিমান্বিত, গৌরবজ্জল অতীতের ঢেকুর তােলা বাঙালি, মগজের নিদারুণ অপুষ্টিতে, ভালাে-মন্দের ফারাকটুকুও আজ বিস্মৃত। একদা রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের উন্নত, উন্মুক্ত চিন্তায় ঋদ্ধ বাঙালির এক বৃহদাংশ, বহু ঘাটের জল খেয়ে, অন্তিম পরিনতিতে, রােজগার-হীনতার সুদীর্ঘ যন্ত্রণার, সহজলভ্য খড়কুটো আশ্রয় খুঁজতে, ধর্ম আর রাজনীতির বিষাক্ত মিশেলে বুঁদ হয়ে আছে। WHAT BENGAL THINKS TODAY, INDIA THINKS TOMMORROW. G.K. Gokhle র এই উচ্চারণ, আজকের প্রেক্ষিতে অবিশ্বাস্য মনে হয়। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে, বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানাের স্পর্ধা-কে জিইয়ে রেখেও, এই মুহূর্তে মনে হয়, WEST BENGAL যেন, আদতে, WASTE BENGAL.  গৈরীক  WEST TT WASTE BENGAL  “Thetfor middle class foSpin refined  mediocrity কে কদর করে এসেছে। | ঋত্বিকের ছবি তার সময়ে চলতাে না।  চলেও নি। বাঙালি তাকে ঠিক। গলাধঃকরন করতে পারে নি। পারবেও না। কারণ, বাঙালি খুব namby-pamby ন্যাকা মার্কা জাত। এরা stupidity, refined mediocrity এসব জিনিস পছন্দ করে। এগুলােই করবে। এটা বাঙালির একটা mindset. যা কিছু, যেটাকে বলে normal, সেটাকে accept করাে। Out of the way একটা কিছু, সেই grammar টা, যে অন্য  grammar এর কথা বলছে, সেটাকে accept করাে না।  এবং এই করে সে তার language কে emusculate করেছে। তার language এ  যে জোরের জায়গা সেগুলােকে তাড়িয়েছে। তার language এ ত্রৈলােক্যোও নেই, মাইকেলও নেই। সে, করলে-খেলে-বললে, একটা রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত অদ্ভুত জিনিস accept করেছে। Which goes by the name of atomit, which is not বাংলা। এই বাংলার কোনও জোর নেই।” মতবিরােধ থাকতেই পারে। থাকবেই। কিন্ত ঘুন ধরা, হতাশাগ্রস্ত, চিন্তার দৈনতায়।  উলঙ্গ, যে বঙ্গসমাজকে প্রতিদিন চাক্ষুষ করা যায়, সব কিছু হারিয়েও, চিন্তায়, চেতনায়, জীবন চর্চায় অন্তত ‘সৎ’ বাঙালি, তার, সততার জোরের জায়গাটুকুও  হারিয়েছে আজ, নিশ্চিত।  অসৎ রাজনৈতিক মানুষগুলাের প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ উল্লম্ফনের যথার্থ সঙ্গতকারী, ‘ভিড়ে’ পরিনত সাধারণ বঙ্গসন্তানদের উচ্চনিনাদি হুঙ্কার, বারংবার চ্যাপলিনের সেই কালজয়ী উচ্চারণেই শীলমােহর বসায়। MAN AS AN INDIVIDUAL IS A GENIUS. BUT MEN IN THE MASS, FORM THE HEADLESS MONSTER. অন্ধকার কখনও ঝুপ করে নামলেও, সাধারণ ভাবে প্রয়ােজন, একটা দীর্ঘ প্রস্তুতির। ৩৪ বছরের দীর্ঘ বাম-শাসন কিংবা বিগত দশকের তৃণমূল। কার আমলে বাংলা কতটা উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত, তর্ক চলুক। কিন্ত আজীবন, মহিমান্বিত, গৌরবজ্জল  অতীতের ঢেকুর তােলা বাঙালি, মগজের নিদারুণ অপুষ্টিতে, ভালাে-মন্দের ফারাকটুকুও আজ বিস্মৃত। একদা রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের উন্নত, উন্মুক্ত চিন্তায় ঋদ্ধ বাঙালির এক বৃহদাংশ, বহু ঘাটের জল খেয়ে, অন্তিম পরিনতিতে, রােজগার-হীনতার সুদীর্ঘ যন্ত্রণার,  সহজলভ্য খড়কুটো আশ্রয় খুঁজতে, ধর্ম আর রাজনীতির বিষাক্ত মিশেলে কুঁদ হয়ে আছে। WHAT BENGAL THINKS TODAY, INDIA THINKS TOMMORROW. G.K. Gokhle র এই উচ্চারণ, আজকের প্রেক্ষিতে অবিশ্বাস্য মনে হয়। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে, বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানাের স্পর্ধা-কে জিইয়ে রেখেও, এই মুহূর্তে মনে হয়,  WEST BENGAL যেন, আদতে, WASTE BENGAL.  গৈরীক  image source: https://www.telegraphindia.com/west-bengal/ear-come-the-elections-hs-examination-over-microphones-begin-to-blare/cid/1264756

ক্যারিসম্যাটিক সরস্বতী 

যে যাই বলুক, আমাদের Madam সরস্বতী কিন্তু এখনও একঘর। ওনার Contemporary লক্ষ্মী, দূর্গা, কালী ইত্যাদি কিংবা হাল আমলের Valentine, গােলাপ, চুম্বন বা অন্য কোন দিবস, বাগদেবীর Charisma র কাছে, নস্যি।। Beauty এবং Brain এর Rare যুগলবন্দির নাক উঁচু Glamourous দিদি, জনপ্রিয়তায়, এবার তাে রীতিমতাে Challenge ছুঁড়ে দিলেন, নিজের আপন ভাই গনেশ বাবাজিকে। বইপত্তরের কৌলিন্যের সাথে প্রেমের হলুদ মাখা আটপৌরে ইমেজ ভেঙে, রাস্তার মােড়ে-মােড়ে, দারু আর রঙ্গবতির উদ্দাম Cocktail এর, এ যেন এক অন্য সরস্বতী।  সময় তার সময়মত, Notification জারি করে গেছে। বুদ্ধিমতী দেবী বিণাপানী, নিজেকে শুধু Update করে গেছেন। আর হবে নাই বা কেন। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম, মর্ত্যে, মাঘের শুক্লপক্ষে পঞ্চমী তিথিতে, সরস্বতীর পূজা করেন। উফ, Opening টা ভাবা যায়। কোনাে ক্যাবিনেট স্তর নয়, এক্কেবারে সটান রাষ্ট্রপতি।  আর ব্যক্তিগত ইতিহাস, কে নেই। পদ্মাপুরাণে দক্ষের কন্যা, কশ্যপমুনির পত্নী। ব্রক্ষ্মবৈবর্ত পুরানে বিষ্ণুর পত্নী। স্কন্ধপুরাণ মতে তিনিই আবার শিব-জায়া। ভিন্ন মতে কৃষ্ণ তার পিতা, আরেক মতে তিনিই দেবরাজ ইন্দ্রের মাতা। কোন Level এ অবাধ বিচরণ, ভাবলে লজ্জা পাবেন বর্তমান PR Consultant রা। এহেন, পুষ্পহারে শােভিত Head Turner  মহাশ্বেতা আবার, একদিকে ঋষি বিশ্বামিত্র, অন্যদিকে ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণুকে নিয়ে খেললেও, শুম্ভ-নিশুম্ভকে শায়েস্তা করতে, কট্টর নারীবাদী, রুদ্রমুর্তিতে অষ্টভুজা মহাসরস্বতী। কিংবা, তিন সতিনের সংসারে, গঙ্গার প্রতি নারায়ণের পক্ষপাতে,  গৃহকর্ম নিপুনা লক্ষ্মী Compromise করলেও, তিনি একটা আস্ত শাহীনবাগ। এই রকম Audrey Hepburn আর Margaret Thatcher এর মিশেল মার্কা ইমেজে, একটু-আধটু Scandal তাে থাকবেই। তাই, সৃষ্টিকর্তা ব্রক্ষ্মা স্বয়ং, কামনা করে বসলেন, অসাধারণ রূপসী এবং বিদুষী, তারই মানসপুত্রীকে। কোন সময়ে দাঁড়িয়ে, কোন Level এর Scandal! আর এখানে, এই সেদিন, LGBT রা সুপ্রিম কোর্টের স্বীকৃতি পেল। Cosmetic নয়, স্বাভাবিক সৌন্দর্যের Intellectual আবেদনে, আন্তর্জাতিক Branding এ তিনিই অগ্রগন্যা। মায়ানমারে তিনি Tipitaka Medaw, চীনে Biancaitian, জাপানে Benzaiten কিংবা থাইল্যান্ডে Surasawadee.  অতএব, যে যাই বলুক, ক্যারিশমার অপ্রতিরােধ্য মুগ্ধতায়, আজও, ঘরের কোনে একান্তেও, সরস্বতী ঠাকরুণ, এক এবং অদ্বিতীয়া।  গৈরিক  image source: https://in.pinterest.com/pin/576531189787571264/?nic_v3=1a2vTdH7I

দুর্গাপূজার বিবর্তনের ইতিহাস

বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কলকাতায় বারোয়ারি দুর্গাপূজার সূচনা ঘটে। অবশ্য কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পূজা অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।১৯১০ সালে ভবানীপুরের বলরাম বসু ঘাট রোডে ভবানীপুর সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভার পক্ষ থেকে বারোয়ারি দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়। এই পূজাটি আজও হয়ে আসছে।এরপর ১৯১১ সালে শ্যামপুকুর আদি সর্বজনীন, ১৯১৩ সনে শ্যামবাজারের শিকদারবাগান, ১৯১৯ সালে নেবুবাগান অর্থাৎ বর্তমান বাগবাজার সর্বজনীন এবং ১৯২৬ সালে সিমলা ব্যায়াম সমিতির বারোয়ারি দুর্গাপূজা শুরু হয়।বারোয়ারি বলতে বোঝায় বাঙালিহিন্দুদের সর্বজনীন পূজা বা উৎসব।শব্দটি মূলত পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত।“বারোয়ারি” শব্দটির উৎপত্তি সম্ভবত, বারো (১২) ও ইয়ার মানে বন্ধু শব্দদুটি থেকে। ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারো জন ব্রাহ্মণ বন্ধু একটি সর্বজনীন পূজা করবেন বলে মনস্থ করেন। প্রতিবেশীদের থেকে চাঁদা তুলে আয়োজিত হয় সেই পূজা। এইভাবেই বাংলায় যে সর্বজনীন পূজানুষ্ঠানের সূচনা হয় তা লোকমুখে বারোয়ারি পূজা নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।প্রথম দিকে, দুর্গাপূজা কেবল কলকাতার ধনী বাবুদের গৃহেই আয়োজিত হত। কিন্তু বারোয়ারি পূজা চালু হওয়ার পর ব্যক্তি উদ্যোগে পূজার সংখ্যা হ্রাস পায় এবং দুর্গাপূজা একটি গণউৎসবে পরিণত হয়।১৭৫৭ সালে শোভাবাজার রাজবাড়িতে নবকৃষ্ণ দেব দুর্গাপূজা শুরু করেন। তার নির্দেশিত পথেই দুর্গাপূজা পরবর্তীকালে কলকাতার ধনিক বাবু সম্প্রদায়ের মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে।শাস্ত্রাচার এই সব পূজায় গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যে পূজায় যত বেশি সংখ্যক আমন্ত্রিত ইংরেজ অতিথি উপস্থিত হতেন, সেই পূজার মর্যাদা ততই বাড়তো। বাইজি নাচের আসর বসত। ইংরেজরা এসে নাচগান করতেন, তাদের জন্য উইলসন হোটেল থেকে গোরু ও শূকরের মাংস আনানো হত এবং মদ্যপানের আসরও বসত।রানি রাসমণিই প্রথম, এই প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে শুদ্ধাচারে তার জানবাজারের বাড়িতে দুর্গাপূজা শুরু করেন।ইংরেজ অতিথিদের চিত্তবিনোদনের বদলে, তার দেশীয় প্রজাদের বিনোদনের জন্য পূজা উপলক্ষে যাত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। ১৮৬১ সালে তার মৃত্যুর পর রানির জামাতাগণ নিজ বাসভবনে তার প্রদর্শিত পথেই, দুর্গাপূজার আয়োজন করতে থাকেন।১৬১০ সাল থেকে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার বড়িশায় তাদের আদি বাসভবনে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন। এটিই সম্ভবত কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গোৎসব। বর্তমানে এই পরিবারের সাত শরিকের বাড়িতে সাতটি দুর্গাপূজা হয়।এগুলির মধ্যে ছয়টি বড়িশায় ও একটি বিরাটিতে। বড়িশার দুর্গাপূজাগুলি হল আটচালা, বড়ো বাড়ি, মেজো বাড়ি, বেনাকি বাড়ি, কালীকিংকর ভবন ও মাঝের বাড়ি। ব্যাক্তির আঙিনা থেকে জনগণের হয়ে ওঠার, দুর্গাপূজার বিবর্তনের এই ইতিহাস, হালফিলের থিমের পুজোর প্রেক্ষাপটে, আজও সমান প্রাসঙ্গিক। লেখক @ গৈরিক